পাবনার ঈশ্বরদীতেরদীতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে ছেলেকে দ্বিতীয় বিবাহ করিয়েছেন যৌতুক লোভী পাষণ্ড পিতা মাতা।
ঈশ্বরদী পৌরসভার দোতালা সাঁকো সংলগ্ন ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দার মোঃআসলাম সরকারের বড় ছেলে মোঃ আশিক সরকার পেকেরহাট ফাতেমা জুট মেলে চাকরি করার সুবাদে শাইনা নামের এক ১৩ বছর বয়সে তরুণীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
শাইনার দেশের বাড়ি রংপুর জেলা গঙ্গার চর থানার সাড়াঘাট ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামের মোঃ আবুল কাশেমের মেয়ে সেও ফাতেমা জুট মেলে চাকরি করতো তাদের সম্পর্ক গভীর হলে একপর্যায়ে আশিক তাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে ঈশ্বরদীতে নিয়ে আসে ১৫।১০।২০১৮ তারিখেএক লক্ষ টাকা দেনমোহরে তাহাকে বিবাহ করে বিবাহর কিছুদিন পর থেকেই যৌতুক লোভী পিতা আসলাম সরকার ও মাথা বিনা বেগম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। এমনকি স্বামী আশিক রশি দিয়ে হাত পা বেঁধে নির্যাতন চালাই।
অসহায় নারী বিষয়টা তার বাবা মাকে জানালে দিনমজুর অসহায় পিতা দিশা না পেয়ে কিস্তি থেকে লোন তুলে দুইবার ৩০ হাজার টাকা করে সর্বমোট ৬০,০০০ টাকা দেন তাতে কিছু দিনের জন্য শান্ত থাকে যৌতুক লোভী পিতা-মাতা। বিয়ের দুই বছরের মাথায় তাদের ঘর আলো করে ইসলাম নামের একটি পুত্র সন্তান(৫) এবং মিনা নামের একটি কন্যা সন্তান (৩)জন্মগ্রহণ করে ২৪ সালে এসে আশিকের পিতা মাতা নতুন বাড়ি নির্মাণ করার জন্য শাইনাকে তার পিতা মাতার কাছ থেকে আরও এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে শাইনা বলে আমার পিতা মাথা গরিব মানুষ এত টাকা কোথায় পাবে টাকা দিতে অস্বীকার করলে শাশুড়ি বিনা প্রচন্ড মারধর করে।
পাষণ্ড পিতা মাতা ও আশিক বুদ্ধি করে শাইনাকে নিয়ে ঈশ্বরদী ৪নং ওয়ার্ডের নূর মহল্লায় একটি বাসা ভাড়ায় নিয়ে আসে এখানে এনেও বিভিন্ন সময় তাকে মারধর কর একপর্যায়ে তাকে বাসা ভাড়ায় রেখে কাজের কথা বলে চলে যাই যৌতুক লোভী পিতা আসলাম ও মাতা বিনা ছেলেকে দ্বিতীয় বিবাহ করায়।
বিবাহর কথা শুনে অসহায় নারী ছুটে যান শাশুড়ি বিনার কাছে শাশুড়ি বিনা তাকে মারধর করে তার চরিত্র খারাপ বলে তাকে তাড়িয়ে দেয় অসহায় নারী কোন দিশা না পেয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে পুলিশের এস আই তুরিকুলের ওপর তদন্তর দায়িত্ব পড়ে তদন্ত করে এসে জানাই এখানে কিছুই হবে না আপনি কোর্টে যান এই সুযোগে আশিকের পিতা-মাতা দ্বিতীয় বউ সহ আশিককে বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে গোপন জায়গাতে পাঠিয়ে দেয়।
এমনকি আসলাম সরকার নেতার মাধ্যমে ফোন দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে শাইনাকে বলে তোকে ২০হাজার টাকা দিয়ে দেব তুই তালাকনামায় সই করে ঈশ্বরদী থেকে চলে যাবি। অসহায় নারী বিচার না পেয়ে দুইটা সন্তানকে রংপুর দেশের বাড়ি তার মার কাছে রেখে ঈশ্বরদী শিমুল মুড়ির ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে জীবনযাপন করছে।
গত ৩|৪|২০২৫ আশিকের মা বিনা রংপুর দেশের বাড়ি গিয়ে শাইনার বড় সন্তান ইসলামকে চুরি করে আনার চেষ্টা করে এ সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে খবর পেয়ে দূরত্ব শাইনা ঈশ্বরদী থেকে রংপুরে যায় সন্তান দিতে অস্বীকার করায় আশিকের পিতা আসলাম তাকে মুঠোফোনে বলে তুই ঈশ্বরদী আসলে তোকে খুন করে ফেলবো লোকজন ঠিক করে রেখেছি তোকে তুলে নিয়ে যাব তোর যদি বাপের ক্ষমতা থাকে তুই ঈশ্বরদীতে আয় অসহায় নারী জানের ভয়ে ঈশ্বরদীতে আসতে পারছে না তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ আশা করছে।