রবিউল ইসলাম রবি, ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের সাতটিকরী গ্রামে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্ব শত্রুতার জেরে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগও উঠেছে। এ বিষয়ে বাদি হাবিবুর রহমান ৬ জনকে বিবাদী করে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ধুনট থানাধীন সাতটিকরী গ্রামের বাসিন্দা বাদী হাবিবুর রহমান এবং তার পরিবারের সাথে একই গ্রামের বাবলু মিয়া (৪২), রফিকুল ইসলাম (৩৭), মোঃ আজিজুল হক (৫৫) মোনারুল ইসলাম (২৬) রঞ্জু মিয়া (২৪), এবং ইছমত আরা (৩৫)-এর মধ্যে জমি-জমা সংক্রান্ত ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল।
শুক্রবার দুপুর অনুমান ১২:৩০ ঘটিকার সময়, সাতটিকরী গ্রামে জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি গ্রাম্য শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের একপর্যায়ে বিবাদীরা বাদীর ভাতিজী আলেয়া খাতুন (৪০)-কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। বাদীর ছেলে রাজু আহম্মেদ (২৩) এতে বাধা দিলে বিবাদীরা তাকে খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। পরে আলেয়া খাতুন বিবাদীদের হুমকি দিতে নিষেধ করলে, বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফোলা ও বেদনাদায়ক জখম করে। আলেয়া খাতুন মাটিতে পড়ে গেলে, ২নং বিবাদী রফিকুল ইসলাম তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে। একই সময় ৬নং বিবাদী মোছাঃ ইছমত আরা আলেয়া খাতুনের গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে। বিবাদীরা প্রকাশ্যে নানা প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলেয়া খাতুনকে দ্রুত ধুনট উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানে তাকে ভর্তি করা হয়।
ধুনট থানার এসআই হায়দার আলী বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।