মোঃ আনোয়ার হোসেন, ডিমলা, নীলফামারী (প্রতিনিধি):
নীলফামারীর ডিমলায় ভাতিজি বউয়ের লোহার রডের আঘাতে চাচা শ্বশুরের মৃত্যুর ঘটায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে ডিমলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার পর হতে ঘটনায় জড়িত এজাহার নামীয় আসামিরা পালিয়ে আত্মগোপনে করে। গত বুধবার মধ্যরাতে নীলফামারী র্যাব-১৩ কুমিল্লায় গিয়ে অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ২ জন এজাহারনামীয় পলাতক আসামী দম্পতিকে গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায়, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামে গত ২ অক্টোবর ৩ টার দিকে পূর্বের পারিবারিক কলহের বিরোধের জেরে চাচাতো জ্যাটাতো দুই জা, শাহিনা বেগম ও বিথি বেগমের মধ্যে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে মারামারি শুরু হয়। ঘটনা দেখে চাচা শ্বশুর মৃত্যু রহিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সাত্তার (৭৫) মারামারি থামাতে গেলে ভাতিজি বউ মোছা, নিথি আক্তার (৩৫) রড দিয়ে চাচা শশুর আব্দুস সাত্তারের মাথায় আঘাত করলে আঃ সাত্তার গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এ ঘটনা দেখে প্রতিবেশী জাহিদুল,আরিফ ও আনারুল হক সহ এলাকাবাসী আঃ সাত্তার কে গুরুত্বর জখমী অবস্থায় উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। ডিমলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় আঃ সাত্তারের জখমী শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৫ অক্টোবর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে ডিমলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ অক্টোবর সকাল ৯ টার দিকে আঃ সাত্তারের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আব্দুস সাত্তারের ছেলে আব্দুল মাজেদ ৭ জন নামীয় ও ৬/৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মৃত্যুর দিনেই ডিমলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ০৩/১৭৮। মামলার পর ঘটনায় জড়িত এজাহার নামীয় আসামিরা পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নীলফামারী র্যাব-১৩ এবং কুমিল্লা র্যাব-১১ যৌথ অভিযান চালিয়ে বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন কালীবাজার এলাকা থেকে চাঞ্চল্যকর ঐ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় মূল আসামী মোসা, নিথি বেগম (৩৫) ও মোঃ সবুর আলী (৪০) দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ও র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) রংপুর এর বিপ্লব কুমার গোস্বামী।