রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
কচাকাটায় এসএসবিসি প্রকল্পের আয়োজনে ইন্টারেক্টিভ সেশন সভা অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে প্রাক্তন ক্যাডেটদের পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথি জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাজশাহীতে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় শুভ উদ্বোধন রাজশাহী বাঘায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তিন ফার্মেসিকে জরিমান বাগাতীপাড়ায় আওয়ামী লীগ কর্মীর দখলে রামপাড়া জামে মসজিদের জমি! প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি স্থানীয়দের ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফার সমর্থকদের চতুর্থ দিনের মশাল মিছিলের স্লোগানে “আমলার মনোনয়ন মানিনা” নওগাঁয় ব্র্যাকের উদ্যোগে বিচারকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় দিনব্যাপী উদ্যোক্তা মেলা ও পিঠা উৎসব গাংগুরিয়া ডিগ্রী কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত ডিমলায় ধান কাটাবস্হায় কৃষকের মৃত্যু; ১দিন পর মরদেহ উদ্ধার।

বিডিআর বিদ্রোহের বিস্ফোরক মামলায় দুই শতাধিকের বেশী আসামির জামিন

মোঃ ফারুক হোসেন, নিউজ ডেস্কঃ / ২৪০ বার পঠিত
আপডেট : রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:৫৪ অপরাহ্ণ

মোঃ ফারুক হোসেন, নিউজ ডেস্কঃ

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও যাদের বিরুদ্ধে কোনো আপিল হয়নি এমন দুই শতাধিকের বেশী আসামি।

রোববার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোঃ ইব্রাহিম মিয়ার অস্থায়ী আদালত তাদের জামিন দেন।

এদিন বেলা ১১টার পর আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ পারভেজ সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর মোঃ বোরহান উদ্দিন সাক্ষ্য নেওয়ার প্রার্থনা করেন। পরবর্তীতে উভয়পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে আদালতে সাক্ষ্য দেন প্রত্যক্ষদর্শী মেজর সৈয়দ মোঃ ইউসুফ।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি ছাড়াও ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায় দেন হাইকোর্টে। রায়ে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। সেই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। পাশাপাশি আরও ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। আর খালাস পান ২৮৩ জন। তবে হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন।

ফলে হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।

এদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয় ২০১০ সালে। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম একপ্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।

ক্ষমতার পালাবদলের অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠে।

গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহিদ পরিবারের সদস্যরা। এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।

সূত্রঃ আমার দেশ

Facebook Comments Box


এই ক্যাটাগরির আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর